আক্তারুজ্জামানঃ পিতৃস্নেহ বঞ্চিত পঙ্গু শারীরীক প্রতিবন্দী মিনা খাতুন(১৪) উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। শারিরীক প্রতিবন্দী মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়া গ্রামের রিয়াজদ্দীনের পঙ্গু মেয়ে মিনা খাতুন। অভিস্বপ্ত পঙ্গু জীবন নিয়ে করো গলগ্রহ হয়ে বাচতে চাইনা। মিনা খাতুনের বয়স যখন ২ বছর তখন তার নিঃষ্ঠুর বাবা ঢাকায় চাকুরী করার নাম করে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। মিনার বয়স ১৪ বছর হয়ে গেলেও আজো তার বাবা ফিরে আসেনি। মিনা এবং তার মাতা চফেলা খাতুন ছোট ভাই বকুল রানা জানেনা তার বাবা বেচেঁ আছে কিনা। মিনা খাতুনের বয়স যখন ২ বছর তখন কাল বৈশাখীর এক ঝড়ে তাকে ঘরের বারান্দা থেকে উঠানে ফেলে দেয়। তাতে তার পা এবং মাজাতে প্রচন্ড আঘাত পাই। অভাবের সংসারে ভালো ডাক্তার দেখানো সম্ভব না হওয়ার কারনে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করলে তার এক পা এবং এক হাত পঙ্গু হয়ে যায়। মিনার বয়স যখন ৭বছর তখন সে প্রতিদিন হাতে ভর করে হামাগুড়ি দিয়ে ৪ কিলোমিটার পথ হেটে হেটে গাংনী পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসাযাওয়া করে। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত সে ঐ স্কুলে লেখা পড়া করে। এবং সে ভালো ফলাফল করে। কিন্তু দারিদ্রতার কষাঘাতে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ৩ বছর
পর মায়ের ও ছোট ভাইয়ের সহযোগীতায় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্মুক্ত বিঃবিঃ এস এস সি প্রোগ্রমে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করে। বর্তমানে সে এস এস সি ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রতিদিন তাকে হাত দিয়ে ৪+৪=৮ কিলোমিটার হাটতে হয়। মিনা জানাই দ্রত হাটতে না পারাই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনা। এতে আমার লেখা পড়ার চরম ক্ষতি হয়। গাংনী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ রবি এবং গাংনী নিউজ ডটকম এর পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান হেলাল মিনাদের বাড়িতে গেলে তাদের দুঃখ দুর-দশার কথা বলেন। মিনা জানায়, দারিদ্র আর অসহায়ক্ত ভেদ করে লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে চাই। আমি লেখা পড়া শিখে নিজের পায়ে দাড়াতে চাই। আমি এই অসহায় পঙ্গু জীবন নিয়ে কারো গলগ্রহ হতে চাইনা। চাই মানুষের সহানুভুতি আর সহযোগীতা। সমাজের বৃত্তবানদের একটু হৃদয় স্পর্স করলে মিনা হতে পারে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ও সাবলম্বি।
দুর্বিসহ পঙ্গু জীবন নিয়ে কারো গলগ্রহ হতে চাইনা গাংনীর মেয়ে মিনা খাতুন। লেখাপড়া শিখে বড় হতে চাই। চাই সবার সহযোগীতা…
Read Time:3 Minute, 27 Second