মিনারুল ইসলামঃ এই প্রথিবী নিয়ে ভাবতে গেলে অনেক কিছুই চোখে পড়ে যা অবাক করার মত। এমনি এক আশ্চার্য জিনিসের সন্ধান পাওয়া গেছে মেহেরপুর জেলায়। এই আর্শ্চায জিনিসটি কোন দালান নয়, নয় কোন প্রাণী। এটি একটি জলজ্যামত্ম মানুষ। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের আকরাম হোসেন। সে এ গ্রামের আব্দুলাহর ছেলে। আকরাম হোসেন জন্ম থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। কিমত্ম প্রতিবন্ধী হলেও তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি তার চোখ। সে অন্যান্ন সাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক দ্রুত কাজ সম্পাদন করতে পারে। বিধাতা তাকে একটি চোখও দেয়নি তার পরেও ধান, গম, পাট নিড়ানোর মত জটিল কাজ করে থাকে। এছাড়া বাশর কঞ্চির চটা তুলে ডালি (ঝুড়ি) তৈরী করে এবং তা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালায়। আকরামের একটি ছোট দোকন আছে। দোকনদারী করতে তার সামান্য ভুল হয়না। সে সাভাবিক সুস্থ মানুষের মত সব কাজ করতে পারে। তার সাথে সাক্ষাৎ করলে সে জানায়, আমার উপার্জনে আমার সংসারটি টাইটুই করে চলে যায়। কখন খেয়ে কখন না খেয়ে বেঁচে আছি। ডালি তৈরী করে ভালই উর্পাজন হয়। প্রতিদিন প্রায় ৪/৫ টি ডালি বুনান যায় কিমত্ম নিজের বাঁশ ঝাড় না থাকায় পরের ঝাড়ে কঞ্চি কাটলে অনেক সময় গালা গালি শুনতে হয়। তাই ডলি বুনান প্রায় বন্ধের পথে। তাছাড়া যে দোকানটি আছে তাতে মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী মাল নাই। যদি আরো মাল থাকতো তাহলে আমার কোন সমস্যা হত না। আমার কাছে প্রয়োজন অনুযায়ী মাল না থাকার কারণে আমার পাড়ার লোকেরা ওই বাজারে যেয়ে কেনে। যদি থাকতো তাহলে তারা আমার কাছ থেকে কিনত। সে আরো জানাই আমাকে নিয়ে আমার তেমন কোন চিমত্মা হয় না কিন্তু আমার দুটি ছেলে-মেয়ে আছে। তাদেরকে বড় ইচ্ছা ছিল লেখা পড়া করাব। কিন্তু অভাবের জন্য কিছুই পারিনা। তাদেরকে মনে হয় আমি মানুষ করতে পারব না। আমার সয় সম্পত্তি কিছুই নাই। আমার অর্বতমানে তাদের কি হবে? এই চিমত্মাই হয় সারাক্ষন। তাদের যদি একটা ব্যাবস্থা করে যেতে পারতাম তাহলে একটু শামিত্মতে মরতে পারতাম। আমার একটি গরু ছিল তার দাম প্রায় ১৫ হাজার টাকা হত। কিন্তু গরুটি কয়েকদিন আগে হঠাৎ মারা গেছে। ভেবে ছিলাম গরুটি বিক্রি করে বাড়িটা ঠিক করব। এখন বর্ষার সময় বৃষ্টি হলে ঘরের মধ্যে পানিতে সাতার হয়ে যায়। কিন্তু তা আর হল না। বিধাতা আমার শেষ সম্বল টুকো কেড়ে নিয়েছে, এ বলে আকরাম কান্নায় ফেটে পড়ে। আকরামের কয়েকজন প্রতিবেশীর সাথে কথা বললে জানায়, আকরামের ছেলে মেয়েরা মাঝে মাঝে খাবারের জন্য কান্না কাটি করে তখন আমরা খাবার টাবার দিই। কিন্তু আমরাও গরীব মানুষ। আমাদেরই সংসার চলে না। যদি দেশের বিত্তবান লোকেরা তার সাহায্যে এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো তার সংসারটা ভালোভাবে চলে যাবে। আকরাম ও তার পরিবার এবং তার প্রতিবেশীরা দেশের বিত্তবান মানুষ গুলোর কাছে সাহায্য কামনা করছে।
অন্য রকম মানুষ, অন্য রকম প্রতিভা
Read Time:4 Minute, 21 Second