বাংলাদেশের ক্ষুদ্রতম জেলা মেহেরপুর দেশের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত। মেহেরপুর জেলার একটি উপজেলা গাংনী। ১৮৫৪ মতান্তরে ১৮৫৭ সালে মেহেরপুর নদীয়া জেলার একটি মহকুমা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, আর সে সময় হতেই গাংনী মেহেরপুরের একটি থানা হিসেবে অবস্থিত। স্বাধীনতা উত্তর ১৯৮৪ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর সদর এবং গাংনী উপজেলাকে নিয়ে মেহেরপুর জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
সীমানাঃ-
গাংনী উপজেলার উত্তরে ভারত (পশ্চিম বঙ্গ) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর ও মীরপুর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, দক্ষিনে মেহেরপুর সদর এবং পশ্চিমে মেহেরপুর সদর ও ভারত (পশ্চিম বঙ্গ) দ্বারা বেষ্টিত।
ভৌগলিক অবস্থানঃ-
উপজেলাটি প্রায় ২৩© © -৪৪© © ও ২৩©© ©- ৫৮© © উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮© © -৩৯© © ও ৮৮© © – ৫৩© © পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
আয়তনঃ-
৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত গাংনী উপজেলার মোট আয়তন ৩৪৪.৪৭ বর্গ কিঃমিঃ ।
নামকরণঃ-
গাংনী নামের সাথে যুক্ত হয়ে আছে এ অঞলের ভৌগলিক পরিবেশের পরিচয়। গাংনী পদটিই এখানে প্রধান। নদী বা নদীর মৃতপ্রায় ধারাকে এ এলাকার মানুষ গাং বা গাঙ বলে। অনুমান করা হয়, গাঙ্গেয় অববাহিকার এই এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপনকারী মানুষেরা জানানতে চেয়েছিল গাং নেই। অন্যদের বসবাসে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এই ঘোষনা দেয়। গাং নেই অর্থাৎ গাংনী, কেননা এই এলাকার মানুষেরা না বা শব্দটি নি অর্থে উচ্চারন করে। গাংনী নামকরনে ভিন্ন আর একটি যক্তিও পাওয়া যায়। পশ্চিমে কাজলা নদী এবং পূর্বে মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী দোয়ার অঞলে এ থানার অবস্থান। সেই অর্থে এ নদীর প্রধান উৎস গঙ্গা। গঙ্গার কন্যা মনে করার কারণে খরস্রোতা মাথাভাঙ্গাকে একসময় এ এলাকার মানুষ গাংগীনি বলে ডাকত। গাংগীনি থেকে গাঙ্গনী বা গাংনী শব্দের উৎপত্তি। গাংনী নামকরণে মুলত এ অঞলের নদী সম্পৃক্ততার পরিচয় ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কাঠামোঃ-
আয়তন: ৩৪৪.৪৭ বর্গ কি:মি
পৌরসভা: ০১ টি
ইউনিয়ন: ০৯ টি
মৌজা : ১০৩ টি
গ্রাম : ১৩০ টি
খানার সংখ্যা : ৬৪,৩৫৬ টি
মোট জনসংখ্যা : ২,৬৯,০৮৫
পুরুষ : ১,৩৭,৯২১ জন
মহিলা : ১,৩১,১৬৪ জন
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ৭৮৭ জন